বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালালে মাটির নিচে ২৩০ কেজি ওজনের বোমা 

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৩

বোমাটি পাওয়ার পর সেখানে ১০০ মিটারের একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। সেটি প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলার সময় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ওই ১০০ মিটারের মধ্যে কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার কাজ চলছে।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনালের কাজ চলাকালে পাইলিংয়ের সময় মাটির ১৫ ফুট নিচে বড় আকৃতির একটি বোমা পাওয়া গেছে।

বুধবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করার সময় বোমাটির সন্ধান পান। এই ঘটনায় নিরাপত্তার আশঙ্কায় সেখানে কয়েক ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে।

শ্রমিকরা জানানোর পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিকে জানায়। আর বিমান বাহিনীর দল এসে ২৩০ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে।

বোমাটি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে বিমান বাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। পরে তা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিমান বাহিনীর ময়মনসিংহ রসুলপুর ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, তাদের ধারণা, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বোমা।

বোমাটি উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিকভাবে তা নিষ্ক্রিয় করে বিমানবাহিনীর বিশেষায়িত দল

 

যদিও শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, তাদের ধারণা এটা মুক্তিযুদ্ধকালীন বোমা। যুদ্ধের সময় এটা পুঁতে রাখা হয়েছিল।

তিনি জানান, বোমাটি পাওয়ার পর সেখানে ১০০ মিটারের একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। সেটি প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলার সময় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ওই ১০০ মিটারের মধ্যে কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার কাজ চলছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ জানান, বোমাটি নিরাপদ স্থানে ধ্বংস করার জন্য বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুরের রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এটি জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা। তাদের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মুক্তিযুদ্ধের সময় উড়োজাহাজ থেকে বোমাটি নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তা অবিস্ফোরিত থেকে যায়।

২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই  লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর নির্মিত হবে এই টার্মিনাল।

প্রকল্পটিতে কাজ করছে মিৎসুবিশি, ফুজিতা ও স্যামসাং কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পাইলিংয়ের কাজ চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর